তন্ত্র অধ্যাত্ম বিদ্যা। তন্ত্রে আবশ্যক নৈতিক সংযম, একনিষ্ঠতা আর দেহ-মনের অন্তর্মুখীন প্রয়োগ। তন্ত্র মানুষের তন-মনের যুগপৎ প্রয়োগ বিজ্ঞান। তন্ত্রের বেশির ভাগ অংশ অনুভূতির বিষয়। তন্ত্রকে পঞ্চম বেদ বলা হয়। তন্ত্রের মুখ্য উদ্দেশ্য আত্মনির্ভর লোককল্যাণ। ভারতবর্ষে তন্ত্রশাস্ত্রের সংগ্রহ সুবিশাল। বৃহৎ অংশ এখনও অমুদ্রিত বা অনাবিষ্কৃত। বিভিন্ন গ্রন্থাগারে সেগুলি অপঠিত অবস্থায় সংরক্ষিত আছে। শাস্ত্রমতে, তন্ত্রের বিষয়বস্তু বহুমুখীন। তন্ত্র মূলত কায়বিজ্ঞানের বিষয়। মানুষের শরীর, মনের বাহির ও ভিতরের আচার-আচরণ ও দেহ-মনের ঘনিষ্ঠতায় যে-ধ্বনি ভিতর ও বাহিরে চলছে, তার সমবায় তন্ত্র। কায়বিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের সঙ্গে মন্ত্র ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তন্ত্র বাক্ স্পন্দনশীল হয়েও বাক্ পথের অতীত।তন্ত্র দেহকাণ্ডের উপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে। সূত্র ও তন্ত্রের মধ্যে মূলত ভেদ নেই। বৌদ্ধমতে সূত্র ও মন্ত্র পরস্পর নির্ভরশীল। তন্ত্রবিদ্যা এশিয়ার সাংস্কৃতিক বিকাশে একটি বিশেষ উপকরণ। ভারতবর্ষে তন্ত্র বেদগ্রাহ্য ও বেদবাহ্য। তন্ত্রবিদ্যা ভারতবর্ষের বহুজনিক সংস্কৃতির স্বাক্ষর। বহু দেবতার চেতনা ভারতবর্ষে তন্ত্রকে অনেক ব্যাপ্ত হতে সহায়তা করেছে। মৌখিক পরম্পরার আবহে সম্ভবত খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতকের আগে বৌদ্ধতন্ত্রগুলি লেখা হয়েছিল। কায় ও চিত্ত পরিশুদ্ধির ক্ষেত্রে তন্ত্র চারটি ধাপে প্রাগ্বুদ্ধ বোধিসত্ত্বকে লৌকিক ও লোকোত্তর জ্ঞানের অধিকারী করে তোলে। তন্ত্র একত্বকে মর্যাদা দেয়।
top of page
SKU: BOI21TA
₹300.00 Regular Price
₹270.00Sale Price
bottom of page